অনেকেই ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে না পেরে শেষ ভরসা হিসেবে রিপোর্ট করাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অনেকেই আছে, এই সামান্য রিপোর্ট করে আইডি ডিলেট করাতে পারে ভেবে গর্ববোধ করে এমনকি নিজেকে স্পামার বলেও দাবি করে(!) থাকে!আর কিছু লোকের কথা তো বাদই দিলাম!তারা নিজেকে “হ্যাকার” পর্যন্তও দাবী করে বসে!!!যাই হোক, এই নোট কাউকে পচাতে নয়, বরং কিছু জ্ঞান অর্জনের জন্যই করা 🙂 কাজেই, যারা নিজেদের এসব ভাবেন এবং কাকতালীয়ভাবে আমার ফ্রেন্ডলিস্টেও আছেন, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।নোটটা লিখার আরো কিছু কারন হল, “ভাই, ফেসবুক আইডি রিপোর্ট করা শিখাবেন?” জাতীয় লোকেদের কিছুটা উপকার করে দেওয়া এবং জানিয়ে দেওয়া, এসব আমার ইনবক্সে আর জানতে না চাইলেই খুশি হব। এবার দেখি স্পাম কি?ছবিটি দেখুনঃ

যে স্পাম করে, সহজ ভাষায় তাকে স্পামার বলে। বুজেই গেছেন যে “রিপোর্ট করার সাথে স্পামিং এর কোন সম্পর্ক নেই এবং এটার ভূল প্রয়োগ করা হচ্ছে!” ।কাজেই “অমুক স্পামিং স্কোয়াড” আসলে স্পামারদের জায়গা না!(তবে আমি বাংলাদেশের সেসব ফক্কিনির পুতদের কথাই বুঝাচ্ছি যারা স্পামিং স্কোয়াড খুলে ফেসবুক আইডি রিপোর্ট করে থাকে(!)।ফেসবুকে আসল “স্পামারদের” গ্রুপ তো আছেই, বলা লাগে না।) তো, যাই হোক আমরা ফেসবুক আইডি রিপোর্ট করা নিয়ে কথা বলছিলাম।একটা আইডি ডিলেট কখন হবে?তখনি যখন ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এর বাইরে কিছু একটা আইডি থেকে শেয়ার করা হয়।কিছু জিনিস আছে যা ফেসবুকে শেয়ার করা নিষিদ্ধ।আবার কিছু আছে ফেসবুকের নিয়মে পড়ে না।যেমনঃ ফেসবুকে ফেক আইডি খোলা(সেটা কারো ছবি দিয়ে অথবা ছবি ছাড়াই)।আরেকটা মজার ব্যাপার, ফেসবুক এর কিছু আপনি একা একটা রিপোর্টে রিমোভ করাতে পারবেন, তবে সেটা তখনি যখন পোষ্ট ফেসবুকের নিয়ম লঙ্ঘন করে।ফেসবুকে আইডিতে যদি বেশি পরিমান রিপোর্ট পড়ে, তবে অনেকটা কারন ছাড়াই ফেসবুক সে আইডি ডিলেট করে ফেলে।তবে, পেজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেকটা শক্তভাবে বিবেচনা করা হয়, মানে পেজ এতো সহজে ডিলেট নাও হতে পারে যদি সেটা নিতান্তই ডিলেট করার মতো হয়।শুধু একটা অফেন্সিভ(offensive) পোষ্ট এর জন্য একটা আইডি/পেজ কখনো ডিলেট হবে না। দেখে নিই ফেসবুকে কি কি করা যাবে নাঃ ১. ফেসবুকে অতিরিক্ত লিঙ্ক শেয়ার করলেও আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে অনেক সময়। ২. একটি ফিচার একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ৩. ফেক আইডি চালাতে মায়া-দয়া করে লাভ নেই কেননা “এক মুহূর্তের নেই ভরসা!”। ৪. কোন প্রকার হ্যারাসমেন্ট করে পোষ্ট করার পূর্বে সাবধান! ৫. অশালীন(slang words) কথাবার্তার ব্যবহার আপনাকে বিপদে ফেলতে সাহায্য করবে। ৬. বেশি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাবেন না!এতে ঠেলা আপনাকেই পরে বুঝতে হবে।উল্টাপাল্টা এপ ব্যবহার কম করলে ভাল হয় কারন কিছু এপ আপনার অজান্তেই স্পামিং করতে থাকে এবং ঝামেলা পোহাতে হবে আপনাকেই। ৭. ছবিতে অশালীন কিছু থাকলে সেটা একটা লিমিট ক্রস করলে আপনার আইডি ডিলেট হবার সম্ভাবনা থাকবে। ৮. ধর্ম বিদ্বেষী লিখা অনেক সময় রিপোর্ট করে রিমোভ করে দেওয়া যায়। ৯. আইডি এর নাম মানুষের নাম না হলে “নেইম ভেরিফিকেশন” থেকে ধরে “আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন” পর্যন্তও গড়াতে পারে। আরো অনেক আছে। বাকিগুলো কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস পড়ে জেনে নিবেন। সো, এই ছিল ফেসবুক আইডি/পেজ/পোষ্ট রিপোর্ট করার পেছনের মূল রহস্য।আর হ্যা, “এর থেকে বাঁচতে কি করতে হবে?” এর উত্তর হল, ফেসবুকের নিয়ম না ভেঙ্গে ফেসবুক চালাতে থাকেন।কিছু হবে না। 🙂 কিভাবে একটা আইডি রিপোর্ট করবেন, সেটাই বলা হল না!আপনাকে আগে সঠিক কি সমস্যা আইডিতে আছে, জানতে হবে।তখন রিপোর্ট অপশনে গিয়ে প্রতিটার বাংলা জেনে নিয়েন।বুঝে বুঝে ফেসবুকে সাবমিট করলেই হয়ে যাবে।সোজা না? ভাল থাকবেন এবং ফেসবুকের পরিবেশ ভাল রাখতে চেষ্টা করবেন



source http://b4byb0y.com/tech-hacking/3436/