How to Be a Hacker

অনেকেই হাহাকার করে হ্যাকার হবার জন্য কিন্তু অনেকেই নিজের সে ইচ্ছা পূরণ করার সুযোগ পায় না। তারা বিভিন্ন হ্যাকারদের শরণাপন্ন হয়। ফল কি, সেটা অনেকেই ভালো জানেন 😀 হ্যাকারেরা তাদের পাত্তাই দেয় না! মেসেজ সিন না করায় তারা কমেন্টে গিয়েও আকুতি-মিনতি করে কিন্তু হ্যাকার সাহেব যে অনড়! আবার অনেকে তো আছে, নিজে তো ভাল করে কিছু জানেই না, অন্যকে ভুলভাল বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেয়! ফলে সবার মনে বাস করে সব ভুলের পাহাড়! হ্যা, হ্যাকারদের নিজেদের লাইফ আছে। অনেকে লজিক দেখায় যে হ্যাকাররা তো নিজের লাইফ নিয়ে বিজি, তাই মেসেজ বা কমেন্ট তারা দেখার সময় কোথায়! কিন্তু ভ্রাতা আমার, ফেসবুকে উনাদের অনলাইন দেখা যায় যে! সেটার উত্তর কি? বলবেন যে উনারা উনাদের দরকারি কাজের মেসেজ চেক করেন, বাকিটা করেন না! ছিঃ ছিঃ এ কেমন বিচার! আজ আপনি হ্যাকার না বলে আপনার দাম নেই? উনারা চাইলেই সেটা করতে পারেন কিন্তু উনাদের পেইন নেওয়ার আগ্রহ নেই 😛 পেইন কেন বলছি? কারন বলি, তবে আপনারাও বিচার করতে পারবেন যে আসলে হ্যাকারেরা মেসেজ কেন দেখতে চায় না। তাদের ইনবক্সে কমন মেসেজ হল “ভাই, হ্যাকার হতে হলে আমাকে কি করতে হবে প্রথমে?” অথবা, “ভাই, SQL Injection পুশ করতে পারি না। হেল্প করা যাবে?” 😛 (ট্রেন্ডিং – [মূলত হবে SQL Injection]) তো, এরকম সেইম প্রশ্নের উত্তর দিতে কি তাদের ইচ্ছা হবে? আপনিই চিন্তা করে দেখুন তো! তো, যাই হোক। সেটা বাদ দিলাম না হয়, কাজের কথায় আসি। আপনি যে হ্যাকার হতে চাচ্ছেন, আপনার সে যোগ্যতা আছে কি? হ্যা! হ্যাকার হতে যোগ্যতা লাগে! সাথে লাগে সাধনা! আপনি যদি ভাল করে টেকনোলোজি সম্পর্কেই না জানেন, আপনি হ্যাকার হবার চিন্তা করেন কি ভেবে? আসুন, দেখে নিই কিছু প্রশ্ন যা আপনি নিজেকে করবেন এবং দেখবেন আপনাকে দিয়ে কিছু আশা করা যায় কিনা! ১. আপনি কি টেকনোলোজিতে সুদক্ষ? নাকি ভাল করে মোবাইলই চালাতে জানেন না? যদি না হয়, তবে আপনাকে দিয়ে হবে না! আগে এগুলোতে ভালো হোন! ২. আপনি কি ইন্টারনেট এর অনেক কিছু সম্পর্কে ভাল জানেন এবং সারাদিন এটা নিয়ে পড়ে থাকেন? উত্তর হ্যা হলে আপনার দ্বারা হতে পারে বলে আমি মনে করছি। ৩. আপনি কি ইংরেজিতে দক্ষ? কেন বলছি? কারন, কেউ বাংলায় আপনার জন্য সব লিখে বসে নাই 😛 তাই, তাদের লিখা বা বই অথবা ইউটিউব টিউটোরিয়াল যখন পড়তে বলা হবে, তখন কি করবেন? ভেবে দেখুন 🙂 ৪. আপনি কি সবকিছুর খুটিনাটি নিয়ে ঘাটাঘাটিতে আগ্রহী? উত্তর হ্যা হলে আপনার সম্ভাবনা আছে উন্নতি করার! ৫. আপনি কি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বুঝেন? বা পারেন? উত্তর না হলে আপনি ভাল হ্যাকার হতে পারবেন না 🙂 তবে ডিফেসার হতে প্রোগ্রামিং এতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাজেই, আপনি কি হতে ইচ্ছুক, সেটা এখানেই অনেকটা নির্ভর করবে! ৬. আপনি কি অনেক সময় নিয়ে যতক্ষণ সাফল্য না আসছে, কাজ করে যান? তবে আপনিই পারবেন! উত্তর না হলে আপনার কপালে কিছু নাই 😛 ৭. সবকিছুতে যদি লজিক দিয়ে বুঝার ability আপনার থাকে, আপনার দ্বারা কিছু হবে! ৮. web development এর ব্যাপারে না জেনে আপনি কখনোই হ্যাকিং এ আগ্রহ দেখাতে যাবেন না! ৯. তাড়াহুড়ো করলে আপনি কোন ফল পাবেন না! আপনাকে কয়েক বছর শিখার মতো আগ্রহ নিয়ে শুরু করতে হবে যার কোন শেষ নেই! মনে রাখবেন, হ্যাকিং ২ দিন বা ২ মাসের কোন কোর্স না! এটা একটা আর্ট যা সবার দ্বারা হয় না! আপনাকে দিয়েও যে হবে, এমনটা মনে করবেন না! ১০. নিজের ভিতর passion থাকাটা জরুরী 😀 ১১. আগে নিজেকে সেইফ সাইভে রেখে ডিফেন্ড করতে শিখুন! না হয় হ্যাক করতে গিয়ে নিজেই এর শিকার বনে যেতে হবে আপনাকে! ১২. অনলাইনে থাকা অনেক কিছুই scam! হুট করে বিশ্বাস করার আগে সাবধান! ১৩. আপনি যা করছেন, বা করেছেন, সেটা আর কেউ করে নি ধরে নিয়ে এতোটা উত্তেজিত হলে চলবে না! এতে আপনার মধ্যে একটা অহংকার চলে আসবে যার দরুন আপনার দ্বারা নতুন কিছু শিখা হবে না! ১৪. মনে করুন আপনি হ্যাকার হয়েই গেলেন, অন্যকে সম্মান দিতে শিখুন! আমার খারাপ লাগে তখনি যখন কোন হ্যাকার সাধারন মানুষের কোন দাম না দেয়! ১৫. কখনোই পপুলারিটির পেছনে দৌড়াবেন না! হিতে বিপরীত হবে! আর কি লাভ রে ভাই? আপনি মরে গেলে আপনাকে কয়জন মনে রাখবে? তাই, আজাইরা পপুলার হবার আশায় হ্যাকিং শিখতে যাইয়েন না 😀 ১৬. গুগলের আর ইউটিউবের অলিগলি খুঁজে বের করার দক্ষতা থাকা চাই ই চাই! এটা যে কতটা দরকার, সেটা বলে বুঝানো যাবে না! লিখলে আসলে শেষ হবে না! তবুও জোর করে শেষ করে দিচ্ছি আজকের এই নোট 😀 ব্যাক-আপ থাকবে না কোন নোটের! তাই সব আপনাদের নিজ দায়িত্বে কপি করে রেখে দিয়েন 😉 ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে দেখার জন্য!



source http://b4byb0y.com/tech-hacking/3424/